* আসল চামড়া চেনার সব চাইতে সহজ পদ্ধতি হল স্পর্শ। জুতায় চাপ দিলেই চামড়ায় পড়বে ভাঁজ তারপর সেটা উঠে আসবে। সেই সঙ্গে আসল চামড়ায় মিলবে প্রাকৃতিক এবং চকচকে অনুভূতি।
* আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ এবং লক্ষণীয় বিষয় হল জুতার সঠিক মাপ। অভিজ্ঞ কারিগরের হাতের তৈরি একজোড়া জুতা শুধু মাপেই সঠিক হবে না, বরং পায়ের একটি অংশে পরিণত হবে। আর মাপে সঠিক হলে জুতা টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। কারণ জুতায় ভাঁজ পড়া এবং আকৃতি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
* সুকতলা এবং সেলাই জুতার স্থায়িত্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভালোমানের একজোড়া জুতার ভেতরে একটি করে বাড়তি শুকতলা থাকবে। নরম এই শুকতলার কারণে জুতার ভেতরে পায়ের পাতা স্থায়ীভাবে বসবে, ফলে পরে বেশি আরাম পাবেন।
শুকতলায় আসল চামড়া ব্যবহার করলে পায়ে দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
* ভালো জুতা চেনার আরেকটি দিক হল এর গন্ধ। আসল চামড়ার জুতায় বিশেষ একটি গন্ধ থাকবে যা শুধু চামড়া থেকেই আসা সম্ভব। আর চামড়ার জুতায় কোনো রাসায়নিক দ্রব্য কিংবা প্লাস্টিকের গন্ধ থাকবে না।
* জুতা কেনার আগে এর তলা ভালোভাবে পরীক্ষা করা জরুরি। রাবার, চামড়া ইত্যাদি বিভিন্ন উপকরণে তৈরি হয় জুতার তলা বা ‘সোল’। দীর্ঘসময় হাঁটার উপযোগী করতে বিশেষ ধরনের হালকা তলার জুতাও রয়েছে। ভালো জুতার তলা উপরের অংশের সঙ্গে সেলাই করা থাকবে, আঠা দিয়ে জোড়া দেওয়া নয়। আর আসল চামড়ার জুতার তলা যে কোনো সময় পরিবর্তন করা সম্ভব।
* জুতার কেনার সময় ডিজাইনের নান্দনিকতা এবং রুচিশীলতার দিকে নজর রাখতে হবে। হাতে তৈরি এবং রং করা জুতা কেনার ক্ষেত্রে রং এবং সেলাইয়ের গুণগত মান দেখে নিতে হবে। সেলাই হতে হবে পরিচ্ছন্ন এবং যতটা সম্ভব চোখের আড়ালে থাকবে।
* জুতার উপর কোনো কৃত্রিম বা প্লাস্টিকের আবরণ আছে কিনা তা দেখতে হবে। সাধারণত জুতায় বাড়তি দীপ্তি আনতে এই আবরণ দেওয়া হয়। যা পুরানো হয়ে গেলে চকচকে-ভাব হারায় এবং অনেকসময় উঠে আসে। জুতা স্পর্শ করেই এই আবরণ সনাক্ত করা সম্ভব।